Sunday, August 23, 2009

প্রাচীধরিত্রীর কবিতা

প্রকাশ রঞ্জন বিশ্বাস; সব বাতি এখনো নেভেনি
প্রাচীধরিত্রীর ছাওয়াল, ঠিকঠাক কিছুই হলো না।
হয়তো দরজা হল, কিন্তু তার জানলা হল না
আহা কত মেঘ কত আকাশ কত বালারা উড়ে গেলো।

বালেশ্বর বাল আমি হরিদাস পাল, না-তার ছাওয়াল?
আনন্দ ভিক্ষার নামে, হাতভরা হাহাকার ফুটিয়ে ফাটিয়ে
            তাকেও কবিতা বলেছি?
আমার হাতের তৃষ্ণা, জানো, শূন্যতাকে ধরতে ধরতে
    কতবার ধরেছে আগুন?
        আঙুলেরা পুড়ে পুড়ে গেছে!
আমি তাকেও কবিতা বলে, বয়ঃমন্ত্র ধরতে চেয়েছি-
    ধরতে না পারি, ছুঁতেই চেয়েছি।

যথারীতি ফুলের যোগ্যতা নিয়েও কাশফুল বড় বিস্মরণশীল
                    বসন্ত উৎসবে-
সেই কাশও হতে পারিনি, গাঙপাড়ে শুধু শুধুই বসে থেকেছি
নদীর রচনা লেখাদিনে, আমিও কিছুদিন কিশোর থেকে দেখেছি।

ভ্যাবসা কবিতাবাসনা নিয়ে, আমি আসর থেকে উঠে গিয়েছি।
হয়তো কবিতা হয়নি, কেবল মুখের ভাঁজরেখারা আরও
            সামনের দিকে চলে এসেছে।
নিদেনপক্ষে আমি পাখিও হতে পারিনি, পাতাও না
অথচ সেদিন হরিয়াল-লুপ্তির স্মারক লিখতে গিয়ে
            ‘ঘুঘুরা কোথা” ভাবতে ভাবতে
            অবশিষ্ট গ্রামান্তের দুপুরে নির্জন থেকেছি
বলা যায়, অস্তিত্বগান কুড়িয়ে ফিরেছি

এবং এ নিয়ে অনেকে লেখে, কিন্তু আমি লিখতেও পারিনি

এদিকে আমার লেখারা, অলিখিত থেকে থেকে একদিন
একদল বকের সঙ্গে, ঝিলের সন্ধানে গিয়ে
        ফিরে আসতে না দেখে
উৎকণ্ঠা প্রতিযোগিতায় আমি শ্রেষ্ঠ হয়েছি।
তবু মেঘেদের কেউ হয়ে উঠতে পারিনি। দু’একবার ভেবেছি
            মেঘ মারুতি না মার্সিডিজ?

প্রাচীধরিত্রীর দিকে শুষ্ক নদীভাবনায়
    বিদেশি টাকায় উন্নয়নের ব্রিজ
দেখতে দেখতে বা সিরিয়াসপ্রেম ভাঁজতে ভাঁজতে
আমার জন্যে যারা দাঁড়িয়েছিল, তাদের সঙ্গেই
        যোগাযোগ হয়নি। ফলে
প্রতিদিনই সভা করি হয়তো কেউ দেখছে না এমন
            বৃক্ষের তলে

হয়তো কয়েকটি কবিতা ঠিকই
    নদীদের সঙ্গে নদী হয়ে বয়ে চলে...
                এই যা।

No comments:

Post a Comment