শেষরাতে, কখন যে বৃষ্টি নেমেছে- টেরই পাইনি। ভোরে, যখন ঘুম ভাঙছে, দেখি বৃষ্টির পর বৃষ্টি আর বৃষ্টি! রোদ-টোদ চোখেই পড়ে না, শুধু রোদের ধারণা জড়িয়েই দিন ধার্য হয়। আজ, বৃষ্টিবার! মানুষের সাধ্য নেই- বৃষ্টিকে অস্বীকার করে। বৃষ্টি হবেই, হয়তো আনন্দে, হয়তো বিষাদে
পোড়াদহ ইস্টিশনে একবার বৃষ্টি দেখেছিলাম। হায় রে বৃষ্টি! বাণমারা বৃষ্টি! ট্রেন এলো, ট্রেন গেল; দেখা গেল- তিনজন যাত্রী ইচ্ছে করেই ট্রেনে ওঠেনি। তাদের একজনকে আমি জানতে চাই, ‘কিরে ভাই... ফেল করলেন না কি?‘ -‘নাহ, এই ট্রেন যে শহরে নিয়ে যাবে, গিয়ে দেখতাম, সেখানে হয়তো বৃষ্টিই হচ্ছে না; আসলে, আমরা ঠিক মিস করতে চাই না...।‘ ‘এই বৃষ্টি কি থামবে না?’ ‘না, এই বৃষ্টি কোনওদিন থামবে না।’
বলাই বাহুল্য, সেই তিনজন, তাতে দুজনই ছেলে আর অন্যজন মেয়ে। তারা হয়ত অনার্স, তারা একসঙ্গে বৃষ্টি দেখছিল?
আরও একবার বৃষ্টির মুখোমুখি পড়লাম। যথারীতি ভিজেও গেলাম। শুধু কি আমিই? বৃষ্টিও আমার মুখোমুখি পড়ল এবং ভিজে গেল। এ ব্যাপারে বকুলতলা সাক্ষী থেকে গেছে
কত কী বলব আর? জীবনে অনেক বৃষ্টি দেখেছি এবং আরও দেখতে হবে। ভাবছি, বৃষ্টিসংখ্যা লিটলম্যাগাজিন ছাপিয়ে ফেলব। তার মধ্যে থাকবে যত বৃষ্টির গল্প আর গল্পের বৃষ্টি। এছাড়া যারা রাতে ঘরে ফিরে, একা একা বৃষ্টিহীনতার মধ্যেও বৃষ্টি রচনা করেন, সেই একারাই বৃষ্টি লিখবেন প্রকাশিতব্য বৃষ্টিসংখ্যায়- বিভিন্ন বয়সের বিভিন্ন রকম বৃষ্টি এবং থাকবে প্রচণ্ড ঝরঝর সম্পাদকীয় এবং ঝিরিঝিরি বিজ্ঞাপন... বৃষ্টি হারিয়ে গেছে, বৃষ্টির গায়ের রঙ সজলা, সে রিমঝিম করে কথা বলতে পারে
প্রগাঢ় বৃষ্টিবাসনার দিন পেরিয়ে গিয়েও, বৃষ্টি নিয়ে আরও চিন্তাভাবনা হবে, আর্দ্র-গবেষণা চলবে। মানুষ বৃষ্টিকে বুঝতে শিখবে এবং বৃষ্টিও মানুষকে জানতে পারবে: প্রতিশ্রুতিশীল মেঘেরা কেন পালাতে পালাতে হঠাৎ থমকে হাউমাউ করে কাঁদে?
সর্বোপরি, আমার বৃষ্টিভাবনা বহুদূর ছড়িয়ে পড়ছে আরও অস্পষ্ট আরও ঝাপসা বৃষ্টির মধ্যে। চরমার্থ ফোটায় ফোটায়- এই সত্যজ্ঞানে, আজ আমি বৃষ্টির সঙ্গে হাঁটতে হাঁটতে স্বভাবতই, জলবিন্দু হয়ে যাচ্ছি এবং বৃষ্টির কবিতা হতে যাচ্ছি!
ওম্ বৃষ্টি! ওম্ বৃষ্টি!! ওম্ বৃষ্টি!!!
জগতে সকল প্রাণী বৃষ্টিলাভ করুক।
পোড়াদহ ইস্টিশনে একবার বৃষ্টি দেখেছিলাম। হায় রে বৃষ্টি! বাণমারা বৃষ্টি! ট্রেন এলো, ট্রেন গেল; দেখা গেল- তিনজন যাত্রী ইচ্ছে করেই ট্রেনে ওঠেনি। তাদের একজনকে আমি জানতে চাই, ‘কিরে ভাই... ফেল করলেন না কি?‘ -‘নাহ, এই ট্রেন যে শহরে নিয়ে যাবে, গিয়ে দেখতাম, সেখানে হয়তো বৃষ্টিই হচ্ছে না; আসলে, আমরা ঠিক মিস করতে চাই না...।‘ ‘এই বৃষ্টি কি থামবে না?’ ‘না, এই বৃষ্টি কোনওদিন থামবে না।’
বলাই বাহুল্য, সেই তিনজন, তাতে দুজনই ছেলে আর অন্যজন মেয়ে। তারা হয়ত অনার্স, তারা একসঙ্গে বৃষ্টি দেখছিল?
আরও একবার বৃষ্টির মুখোমুখি পড়লাম। যথারীতি ভিজেও গেলাম। শুধু কি আমিই? বৃষ্টিও আমার মুখোমুখি পড়ল এবং ভিজে গেল। এ ব্যাপারে বকুলতলা সাক্ষী থেকে গেছে
কত কী বলব আর? জীবনে অনেক বৃষ্টি দেখেছি এবং আরও দেখতে হবে। ভাবছি, বৃষ্টিসংখ্যা লিটলম্যাগাজিন ছাপিয়ে ফেলব। তার মধ্যে থাকবে যত বৃষ্টির গল্প আর গল্পের বৃষ্টি। এছাড়া যারা রাতে ঘরে ফিরে, একা একা বৃষ্টিহীনতার মধ্যেও বৃষ্টি রচনা করেন, সেই একারাই বৃষ্টি লিখবেন প্রকাশিতব্য বৃষ্টিসংখ্যায়- বিভিন্ন বয়সের বিভিন্ন রকম বৃষ্টি এবং থাকবে প্রচণ্ড ঝরঝর সম্পাদকীয় এবং ঝিরিঝিরি বিজ্ঞাপন... বৃষ্টি হারিয়ে গেছে, বৃষ্টির গায়ের রঙ সজলা, সে রিমঝিম করে কথা বলতে পারে
প্রগাঢ় বৃষ্টিবাসনার দিন পেরিয়ে গিয়েও, বৃষ্টি নিয়ে আরও চিন্তাভাবনা হবে, আর্দ্র-গবেষণা চলবে। মানুষ বৃষ্টিকে বুঝতে শিখবে এবং বৃষ্টিও মানুষকে জানতে পারবে: প্রতিশ্রুতিশীল মেঘেরা কেন পালাতে পালাতে হঠাৎ থমকে হাউমাউ করে কাঁদে?
সর্বোপরি, আমার বৃষ্টিভাবনা বহুদূর ছড়িয়ে পড়ছে আরও অস্পষ্ট আরও ঝাপসা বৃষ্টির মধ্যে। চরমার্থ ফোটায় ফোটায়- এই সত্যজ্ঞানে, আজ আমি বৃষ্টির সঙ্গে হাঁটতে হাঁটতে স্বভাবতই, জলবিন্দু হয়ে যাচ্ছি এবং বৃষ্টির কবিতা হতে যাচ্ছি!
ওম্ বৃষ্টি! ওম্ বৃষ্টি!! ওম্ বৃষ্টি!!!
জগতে সকল প্রাণী বৃষ্টিলাভ করুক।
No comments:
Post a Comment